মোঃ কামরুল ইসলাম মোস্তফা, চন্দনাইশঃ
চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় ৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৮৬ টাকা ব্যয়ে ব্রিক ফ্ল্যাট সলিং দ্বারা উন্নয়ন করা দুইটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক উদ্বোধন করেছেন দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ওই দুইটি সড়ক ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন তিনি।
দোহাজারী পৌরসভার উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ব্রিক ফ্ল্যাট সলিং দ্বারা উন্নয়ন করা সড়ক দুইটি হলো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার প্রধান সড়ক হতে হাজারী বাবু শ্মশান পর্যন্ত ১২৫ মিটার এবং হাজারী বাবু শ্মশান থেকে হাজারী পুকুর বটতল পর্যন্ত ১২৫ মিটার সড়ক।
সড়ক উদ্ভোধনকালে উপস্থিত ছিলেন দোহাজারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. নাঈম উদ্দিন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী তিলকানন্দ চাকমা, হিসাব রক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, মনোজ কান্তি সিংহ হাজারী, পীযুষ কান্তি সিংহ হাজারী, অধ্যাপক দীপক সিংহ হাজারী, উপজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, উপজেলা যুবলীগ সদস্য লোকমান হাকিম, সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, রোকেয়া বেগম, শিক্ষানবিশ আইনজীবী গৌরব সিংহ হাজারী, পৌরসভার কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর জমির উদ্দিন, হিন্দুপাড়া সমাজ উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ঝন্টু কুমার মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সৈকত দাশ ইমন, শিশির রক্ষিত, রতন শীল, দীপক মল্লিক, চন্দন মল্লিক, বাবুল দে, অরুন কান্তি নাথ, প্রফুল্ল দে, যোগেশ দে, মিন্টু দে, ননী চক্রবর্ত্তী, রুবেল চক্রবর্ত্তী প্রমূখ।
সড়ক দুইটি ব্রিক ফ্ল্যাট সলিং দ্বারা উন্নয়ন করায় আজম পাড়া, দে পাড়া ও হাজারী বাড়ী এলাকার মানুষের ভোগান্তীর অবসান হয়েছে। স্বস্তি এসেছে সড়কে চলাচলকারীদের মাঝে।
প্রসঙ্গতঃ চলতি বছর ৬জুন সন্ধ্যায় দোহাজারী পৌরসভার হাজারী বাড়ি সংলগ্ন দে পাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে মৃত গোপাল দত্তের ছেলে মাষ্টার অরুণ দত্ত, বরুণ দত্ত, কিরন দত্ত ও মেয়ে দীপ্তি রাণী দত্তের বসতঘর আগুনে পুড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তাঁরা। খবর পেয়ে দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার পরদিন ৭জুন দুপুরে সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার প্রধান সড়ক থেকে হাজারী পুকুর বটতল পর্যন্ত ২৫০মিটার মেঠোসড়ক বিএফএস (ব্রিক ফ্ল্যাট সলিং) দ্বারা উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁর ওই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে গত ৩ নভেম্বর কাজ শুরু হয়ে ১৯ নভেম্বর কাজ সম্পন্ন হয়।
সাধারণত যে কোন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে তা অনুমোদন করাতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। আবার সেটি বাস্তবায়ন করতে আরো বেশি সময়ের প্রয়োজন। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানকল্পে এবং প্রতিশ্রুতি প্রতিপালনের লক্ষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে প্রশংসায় ভাসছেন দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার।
জনদুর্ভোগ লাঘব করে নাগরিক সস্তি প্রদানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছরীন আক্তার বলেন, “দোহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানকল্পে আমার সামর্থ্য ও পৌরসভার সক্ষমতা অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যে কোন সমস্যার সমাধান রাতারাতি হবে না। তবে সমস্যা সমাধানকল্পে আমি সচেষ্ট রয়েছি। যে কোন নাগরিক সমস্যা বা দুর্ভোগ থাকলে তা আমাকে অবহিত করা হলে সমস্যা সমাধানকল্পে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
Leave a Reply